ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকের স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন নামে চালু হওয়া অনুষদ নিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন।

শনিবার(১৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে ওই স্ট্যাটাসকে কুরুচিপূর্ণ দাবি করে তা প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনোনীত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগকে বণ্টন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে একটি বৃদ্ধি করে কলা অনুষদ করা হয়েছে। একই সাথে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞান অনুষদ এবং এ অনুষদ থেকে দুইটি অনুষদ বৃদ্ধি করে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদ করা হয়েছে।

১৫ নভেম্বর রাত ১০টায় অনুষদ বিভক্তের প্রেক্ষিতে আলতাফ হোসেন রাসেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে এই বিভক্তিকে ভারসাম্যহীন সম্প্রসারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্গানোগ্রামের অজুহাতে এটা একটা বিভক্তি। এটা ভারসাম্যহীন সম্প্রসারণ যা দেখতেই সুন্দর দেখাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ততোটা কার্যকরী হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার বিভাগের নামগুলো ব্যক্তি বা মানুষের নাম মনে করছেন কিনা বুঝতে পারছি না। একদিন ঘুম থেকে উঠে একটি জাতির সবাই দেখল তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ার! কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, তারা অনুভব ও অনুধাবন করতে পারল না, এই ইঞ্জিনিয়ার খায় না মাথায় দেয়! এটা বুড়ো বয়সে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ভীমরতি ধরার মতো।’

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের ব্যাপারে আলতাফ হোসাইন রাসেল ফেসবুকে তাৎক্ষণিক এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘এইবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাপক ব্যর্থতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। নৈরাজ্য ‘সৃষ্টিকারী সুবধিাভোগীরা’ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমার লেখার একটি অংশকে নিয়ে এই ধরনের একটা নাটক মঞ্চস্থ করল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এরকম স্টাটাস দেয়া ঠিক হয়নি। তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল ওয়েতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056040287017822