গফরগাঁও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখানে অনিয়ম ও দূর্নীতিতে রীতিমতো প্রতিযোগীতা চলে বলা যায়। সরকারি বই দেওয়া,বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন, স্লীপের টাকা, শিক্ষক বদলি কিংবা কর্মস্থলে শিক্ষক -শিক্ষিকার অনুপস্থিতি কোন খাতেই ঘুষ গ্রহণের বাকী রাখেন না তারা।অতীতে ঘুষ গ্রহণের সময় হাতে নাতে ধরা খেয়ে জেলে গেছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটান সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম।
একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে নিবন্ধন করিয়ে দিতে ১৫০০০ (পনেরো হাজর টাকা) ঘুষ দাবি করেন তিনি। এবং সর্বশেষ ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা ছাড়া করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ঐ শিক্ষককে। এমনই একটি অডিও বার্তা ফাঁস হয়েছে দুই দিন আগে। অডিওবার্তাটিতে শুনা যায়, সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহিনুর ইসলাম ঐ শিক্ষকের কাছে সরাসরি টাকা ঘুষ চাইছেন । পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়াতে হবে তাই নিরুপায় হয়ে নিবন্ধন করতে বাধ্য হন অভিযোগকারী শিক্ষক। অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহিনুর ইসলাম ঘুষগ্রহণে সকল অফিসারকে টপকে গেছেন। ক্লাস্টার ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগাভাগি হলেও তিনি ঘুষগ্রহণে সকল ক্লাস্টারের প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করেন।
কয়েকজন বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,শাহিনুর ইসলাম ঘুষছাড়া কোনো কাজই করেননা। বেসরকারি স্কুলের নিবন্ধন এবং বিনামূল্যের সরকারি বই টাকার বিনিময়ে বিতরণ করেই তিনি হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। তার এহেন ঘুষ বাণিজ্যে রীতিমতো অস্বস্তিকর অবস্থায় আছেন উপজেলার বহু শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, নিজেকে এমপি মহোদয়ের কাছের লোক দাবী করে এসব দূর্নীতি নির্দিধায় করে যাচ্ছেন তিনি। অথচ এমপি মহোদয় তার এহেন দূর্নীতির খবর কিছুই জানেননা। তিনি বলেন,আমরা এসব বিষয়ে দুদকে অভিযোগও করেছি। দুদক সময়মতো ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষকগন এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।