আশুগঞ্জ বগুইর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রাথমিকের শাখা চালু এবং বই দিয়ে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সরকারি প্রাথমিকের কেসমেন্ট এরিয়ার ভেতরে প্রাথমিকের শাখাটি চালু করা করার পর পার্শ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দেয়। এ বছর মাত্র ৮ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে বগুইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিকের শাখা খোলা এবং পাঠদানের অনুমতি যাতে না দেয়া হয় সে ব্যাপারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল হাফিজ ভূঁইয়া আগেই আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানিয়েছিলেন।
তাছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নতুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে গড়ে উঠতে না পারে এ ব্যাপারে গত ২৪শে জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও ১লা জানুয়ারি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিকের শাখায় ভর্তি হওয়া ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বই সরবরাহ করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আলিম রানা। তার দাবি প্রাথমিকের ওই শাখাটি বই পাওয়ার দাবি রাখে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেসমেন্ট এরিয়ার ভেতরে নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাখা বা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই জানালেও বিদ্যালয়টি কীভাবে বই পেলো সেটি তার অজানা বলে জানান। বলেন, তাদের বই পাওয়ার কোনো সুয়োগ নেই। কেন বই দেয়া হলো সেটি আমি জানবো।