ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি হিসেবে দেওয়া ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের তিনজনের বিরুদ্ধে। এক কর্মকর্তা ও দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিভাবকরা এমন অভিযোগ করার পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এক কর্মচারীকে গতকাল বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বদলি হওয়া কর্মচারী হলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলম। তাকে গোপালগঞ্জ প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। যদিও তার বদলির আদেশে প্রশাসনিক কারণ বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এই বদলির আদেশ জারি করা হয়।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। এর ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা, উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলম এবং অফিস সহায়ক মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ঢাকা বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলমের অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে গোপালগঞ্জ পিটিআই অফিসে বদলি করা হয়েছে। ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। অন্যথায় ২০ জুলাই থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে যাবেন।
অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা ও অফিস সহায়ক মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ অসত্য ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা।