শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সম্মানীর টাকায় ভাগ বসানোর অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি |

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ রুহুল সগীরের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সম্মানীর টাকায় ভাগ বসানোর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে পরীক্ষাকেন্দ্রে ও খাতা মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকা ৬১৩ জন শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মানীর টাকা উত্তোলনের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা রেখেছেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় ২০১৮ সালে ১৭টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন কেন্দ্রসচিব, একজন হল সুপার, একজন সহকারী হল সুপার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন অফিস সহকারী, দুজন এমএলএসএস, তিনজন গ্রাম পুলিশ এবং ২৫ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে একজন কক্ষ পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সে হিসেবে উপজেলার ১৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩৮৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেছেন। তা ছাড়া উপজেলায় পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য সাতজন প্রধান পরীক্ষক, ৬০ জন নিরীক্ষক ও ১৫৭ জন পরীক্ষক দায়িত্ব পালন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের নরসিংদী জেলার অন্য উপজেলায় এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলার উপজেলাগুলোতেও সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী কোনো শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা রাখা হয়নি। শুধু আমাদের উপজেলার শিক্ষকদেরই এই টাকা দিতে হয়েছে। হয়রানির ভয়ে আমরা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছি না।’ আরেক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও দু-একজন কর্মচারীর কারণে পুরো অফিসের দুর্নাম হচ্ছে। শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই সামান্য অজুহাতে সাধারণ শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন। সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে আইটি চার্জের কথা বলে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।’

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ রুহুল সগীর বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত শিক্ষক ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করা হয়েছে, তা আইটি চার্জের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এসব টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি।’

এ ব্যাপারে জানতে নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037808418273926