এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বয়স বাড়িয়ে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ঘটানো এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রশীদ স্বাক্ষরিত গত ১০ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ১৪ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই তালিকায় সিনিয়র শিক্ষকদের পাশ কাটিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন গণপত্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস সুলতানা।
সার্ভিস বই সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এসএসসি সনদ অনুযায়ী নারগিস সুলতানার জন্ম ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে। তিনি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২ জুলাই সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু জন্ম তারিখ ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ সেপ্টেম্বর দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম পদোন্নতির জন্য নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান।
স্বর্পবেতাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নারগিস সুলতানা সচেতনভাবেই জন্ম তারিখ গোপন করে তালিকায় নাম এনেছেন। আমি তাঁর আগে চাকরিতে যোগ দিই এবং বয়স বিবেচনায়ও আমি সিনিয়র। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে আমার নাম না থাকলেও তাঁর নাম এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি রাজবাড়ী সদরে নারগিসের বদলির অর্ডার হলেও তিনি বদলি ঠেকাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
তবে গণপত্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস সুলতানা দাবি করেন, ‘পদোন্নতির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাকে জানান, চলতি দায়িত্বের জন্য একাধিকবার শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয়েছে। ভুলবশত এটি হয়েছে। সংশোধনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আশা করছি শিগগিরই বিষয়টির সমাধান হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে সংশোধনের জন্য পাঠানো হবে। তবে অনিয়ম হয়ে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।