অবকাঠামো ও জনবল সংকটে রাঙামাটি জেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে এসব স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম আর প্রয়োজনীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্গম অনেক এলাকায় নেই কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক স্তরে পাহাড়ি জনপদের শিশু-কিশোরদের ঝড়ে পড়া রোধ করতে প্রথম পর্যায়ে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে জেলার ১০ উপজেলায় ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শিশু শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়।
কিন্তু শ্রেণী সংখ্যা বাড়ানোর পর গত ৫ বছরে এসব স্কুলে শিক্ষার্থী বাড়লেও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। পূরণ হয়নি শিক্ষকসহ জনবলের চাহিদা। ফলে ব্যহত হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম।
শুকরছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবল না বাড়ানোয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত করার সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট ১৫টি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে পরিকল্পনার কথা জানান এই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রাঙামাটি জেলায় দুর্গম স্থানে স্কুল, দারিদ্র্য, ভাষাগত সমস্যার কারণে প্রতিবছর ১২ ভাগ শিশু পঞ্চম শ্রেণী শেষ করেই ঝরে পড়ে।