করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছে।
মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনলাইনেই বেশিরভাগ স্কুলে ক্লাস চলছে। মঙ্গলবারই স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি না হলেও আংশিকভাবে স্কুল খোলা যাবে। এই সংক্রান্ত গাইডলাইন এদিন প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরই স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ছোটদের জন্য এখন স্কুল খোলার কোনও প্রশ্ন নেই।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, অনলাইন ক্লাসে অনুমতি দিচ্ছে কেন্দ্র। তবে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা চাইলে স্কুলে যেতে পারবে। অভিভাবকদের থেকে লিখিত অনুমতি এনে তবেই ক্লাসে যোগ দেওয়া যাবে।
ক্লাস, স্টাফ রুম, অফিস, ক্যাফেটেরিয়ায় সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা আবশ্যিক। আপাতত ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মাহমুদ। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম দফায় (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বাদশ শ্রেণিসহ সব প্রফেশনাল কলেজ খুলে দেওয়া হবে। পরে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা তাঁদের ‘ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি)’ এর গবেষণার সাহায্য নিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, পরামর্শমূলক এই প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও থিংক ট্যাংক এর সদস্যরাও যুক্ত ছিলেন। তিনি এই দিনটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে অভিহিত করেন। মেহমুদ এতগুলো মাস ধৈর্যধারণের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।