টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি কলেজ মাঠে জমজমাটভাবে চলছে গাছের গুঁড়ি, ইট, বালু ও ভাঙ্গারির ব্যবসা। কলেজ মাঠের একাংশে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবসা করে আসছে। এ ছাড়া উপজেলা সদরের সরকারি এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইট, বালু ও খোয়া রেখে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানা গেছে।
কলেজ মাঠের বেশির ভাগ জায়গায় গাছের গুঁড়ি, ইট, বালু ও ভাঙ্গারি জিনিসপত্রের স্তূপ রয়েছে। এতে মাঠটিতে খেলাধুলা করতে খেলোয়াড়দের নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলাই প্রধান উপায় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। কিন্তু মাঠের একাংশ দখলে নিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী রাখার কারণে অনেকে খেলাধুলায় আগ্রহ হারাচ্ছে, যা যুবসমাজের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর।
কলেজ মাঠের নিয়মিত খেলোয়াড় চপল মিয়া বলেন, ‘আমরা নিজেরা খেলাধুলা করছি। তা ছাড়া সমাজের যুবকরা যাতে আড্ডা না দিয়ে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করে সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু খেলার মাঠ যদি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে তাহলে কিভাবে আমরা খেলাধুলা করব? এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
অন্যদিকে সদরের সরকারি এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইট, বালু ও খোয়া রেখে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সরকারি এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিলা, আরিফ, ঝলক ও কান্তা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে খোলা জায়গায় ইট, বালু ও খোয়া রাখায় তাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
সরকারি এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, কে বা কারা বিদ্যালয়ের সামনে নির্মাণসামগ্রী রেখেছে—তা তিনি জানেন না। মির্জাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদিজা ইয়াসমিন বলেন, যারা কাঠের খণ্ড, পাট, ইট-বালু ও ভাঙ্গারি রেখে ব্যবসা করছে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইনুল হক বলেন, খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।