দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭ এপ্রিল (বুধবার) ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৫ এপ্রিল অধিদপ্তরগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি পালিত হবে। মুজিবনগর দিবস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়নে একটি সভা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুজিবনগর দিবসে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে গত ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।