সম্পূর্ণ ব্যবাসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মাফিয়া হিসেবে সারাদেশের রুচিশীল মানুষের কাছে পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শত শত শিক্ষকের নাম ননএমপির তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় এমপিওভুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকেন বা অনেক আগে এমপিওভুক্ত হলেও তারা এমপিও সারেন্ডার করেছেন। যারা এমপিওভুক্ত হতে চায়না, এমনকি সরকারিও হতে চায় না, তারাও তালিকায় ঢুকেছেন। এই তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে ঈদের দুদিন আগে। আজ ২৮ মে’র মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করার কথা। কি জন্য তালিকা তৈরি বা হালনাগাদ করা হচ্ছে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে এক ধরনের কথা বলা হলেও বেসরকারি শিক্ষক নেতারা বলছেন, করোনায় দূর্দশাগ্রস্থ ননএমপিও শিক্ষকদের জন্য সরকার থেকে আর্থিক বা অন্যকোনো সুবিধা দেয়ার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগ পৃথক চিঠিতে ব্যানবেইসের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয় গত সপ্তাহে। জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনওদের সহায়তায় তালিকা হালনাগাদের কাজ করছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সাউথপয়েন্ট, মনিপুর হাইস্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানও ননএমপিও শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে। সাউথপয়েন্ট স্কুলের রয়েছে অঢেল টাকা। লাখ লাখ টাকা বেতন-ভাতা নেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষরা। আবার মন্ত্রণালয়র অনুমতি ছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিত্য নতুন শাখা খোলার দায়ে অভিযুক্ত ও এমপিও পেয়েও তা সারেন্ডার করা মিরপুরের মনিপুর স্কুলও তালিকা তৈরি করেছে। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি ও কুইন্স কলেজ ও শাহীন শিক্ষা পরিবারেও একই অবস্থা।
আবার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্যাটার্নের বাইরে ডজন ডজন শিক্ষকের না তালিকাখভুক্তির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠা। আবার কয়েকবছর আগে ইআইআইএনভুক্ত কিন্তু বর্তমানে প্রায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানও তালিকা জমা দিয়েছে ঢাকা শহরের শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে। এসব তালিকা পেয়ে নতুন করে ভাবছে জেলা ও শিক্ষা প্রশাসন।