শিক্ষা ভবনের সেই আফসার ওএসডি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পদোন্নতি পেয়েও শিক্ষা ভবনে ২০ হাজার টাকা কম বেতনে চাকরি করা মো. আফসার উদ্দীনকে ওএসডি করা হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখায় কর্মরত ছিলেন তিনি। চার বছর আগে পদোন্নতি পেলেও সে পদে যোগ দেননি আফসার। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তার ওএসডির আদেশ জারি করা হয়। 

জানা গেছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আফসার উদ্দিন ছয় বছর আগে শিক্ষা ভবনের এমপিও শাখায় (শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক-২) যোগ দেন। সে সময় আফসারের পদবি ছিল প্রভাষক। চার বছর আগে প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হন তিনি। বিধান অনুযায়ী পদোন্নতি পাওয়ার পর ওই পদে যোগদান করতে হয়। কিন্তু মো. আফসার উদ্দিন পদোন্নতি পেয়েও আগের পদেই ছিলেন, যা নিয়মবহির্ভূত।

সরকারি কলেজের একজন প্রভাষকের তুলনায় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বেশি বেতন-ভাতা পান একজন সহকারী অধ্যাপক। সেই হিসেবে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা কম বেতন নিয়ে নিম্নপদে এমপিও শাখায় চাকরি করছিলেন আফসার উদ্দিন। পদোন্নতি পেয়েও তিনি কেন এবং কীভাবে তাতে যোগ না দিয়ে আগের পদে বহাল রয়েছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় এমপিওভুক্তিতে রয়েছে মধু। এই মধুর প্রতি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় কর্মকর্তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার একজন অতিরিক্ত সচিবকে ম্যানেজ করে নিম্নপদে বহাল ছিলেন আফসার। প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।’

শিক্ষা ভবনের দোতলায় আফসারের কক্ষে প্রায় প্রতিদিনই তদবিরবাজদের ভীড় দেখা যায়। অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি ও স্থগিত থাকা বহু শিক্ষকের এমপিও অবৈধভাবে ছাড় করণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 
 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051469802856445