তাঁর ক্যাডার পরিচয় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব। গতমাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখায় বদলি হয়ে এসেছেন। নাম তাঁর ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ। শিক্ষা ক্যাডার থেকে উপসচিব হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের যথাক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শক ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষক। শ্রীকান্তকে কলেজ শাখায় বদলি করে আনায় শিক্ষা ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা নানাভাবে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে অর্থনীতি, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়নের শিক্ষকরা। আর অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি কলেজের পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় অনুমোদনে হয়রানির আশঙ্কা করছেন বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা।
গত সাত বছর ধরে নানাভাবে নিগৃহীত, নির্যাতিত, পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৭ম ব্যাচের কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষার কাছে তাদের কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ শাখায় যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্তি সচিব পদে দীর্ঘদিন ছিলেন শিক্ষা ক্যাডার থেকে কোটায় উপসচিব হওয়া বিতর্কিত ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন আহমদ। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের একান্ত সচিব হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন তৎকালীন উপসচিব জালাল। শত শত ‘বেহুদা’ বেসরকারি কলেজের অনুমোদন, টাকার বিনিময়ে শিক্ষা প্রশাসনের ভালো পদে অসৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন ও নিজ ব্যাচমেটদের দৌড়ের ওপর রাখার অভিযোগ জালালের বিরুদ্ধে।
অধ্যাপক না হয়েই অবসরে যাওয়া ৭ম ব্যাচ কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, শুধু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মোল্লা জালালের সামনের বেঞ্চের সহপাঠী ও ক্যাডার চাকরির তালিকায় এগিয়ে থাকার ‘অপরাধে’ আমরা কয়েকজন পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছি। আমরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। আল্রাহ বিচার করবেন।
এদিকে, বেসরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা মো: মজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ে সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়া আজ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার জন্য অন্যতম দায়ী মোল্লা জালাল।