অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এমপিওটাকে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে এটি তাদের একটি নিরাপদ প্রকল্প। আমি বলেছি, এমপিও দেবো, তবে সেটা বিভাজন করার দায়িত্ব আমার একার। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নেবো না।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) বাজেটে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারে (এমপিও) কিছু বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে সেটা শুধু শিক্ষকদের বেতনের জন্য নয়। বুধবার (০৯ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটের এমপিওতে শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও উপকরণের জন্য বরাদ্দ থাকবে। পরিচিতির কারণে এমপিও নামটা রাখা হচ্ছে। সেখানে পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হবে, কোন খাতের জন্য কতো বরাদ্দ।
মুহিত বলেন, তবে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ শিক্ষকদের বেতনের জন্যই থাকবে।
শিক্ষার জাতীয়করণ ভালো উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে ফেলবো। প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেছি। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এখনো কিছুটা জাতীয়করণের বাইরে রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার বর্তমান অবস্থা মোটামুটি ভালো। এখন শিক্ষক সংকট নেই। আমি বলি প্রাথমিক শিক্ষার কোয়ালিটি ভালো। কারণ ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার অবস্থা দুর্বল, খুবই দুরবস্থায় আছে। আমরা দক্ষতার ভিত্তিতে বড় ধরনের জাতীয়করণ করছি। সেজন্য একটি নীতিমালা আমাদের মন্ত্রণালয় তৈরি করে দিয়েছে। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। কিছু সংযুক্তও করেছে। সে অনুযায়ী আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করছি। প্রতিবছর গড়ে ২শ’ বিদ্যালয় জাতীয়করণ হচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অগ্রগতিও লক্ষ্যণীয়।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থবিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়াসহ অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।