শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই আসছে নতুন রূপে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সাত বছরের মাথায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষাক্রমের সঙ্গে পরিবর্তন হবে পাঠ্যবইও। যুগের চাহিদা, পরিবর্তন ও তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গতি স্থাপনের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে নতুন বই দেয়া হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন মুসতাক আহমদ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুরুতে প্রাথমিক, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ বই পাবে। শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এটি কারিকুলাম রিভিউয়ের (পর্যালোচনা) বছর। সে হিসেবে কারিকুলাম রিভিউয়ের কাজ চলছে।

জানা গেছে, শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চারটি নীতি ও কৌশলকে ভিত্তি ধরা হবে। এগুলো হচ্ছে- ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), রূপকল্প-২০৪১ এবং আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার।

সর্বশেষ ২০১২ সালে নতুন শিক্ষাক্রম এবং পরের বছর নতুন পাঠ্যবই প্রবর্তন করা হয়েছিল। নতুন উদ্যোগে আগামী বছরের মধ্যে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন শেষ করা হবে। এর আলোকে প্রণীত নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে ২০২১ সালে। তবে একসঙ্গে সব শ্রেণীতে নতুন বই প্রবর্তন করা হবে না। ২০২১ সালে কেবল প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ বই পাবে। পরের বছর তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, নবম ও একাদশ শ্রেণীতে নতুন বই প্রবর্তন করা হবে। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে লেখা বইয়ে। আর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে হবে ২০২৩ সালে। অর্থাৎ, ওই বছরের শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে লেখা পাঠ্যবই হাতে পাবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা শনিবার  বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি ৫-৬ বছর পর পর শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা ও পরিমার্জনের রেওয়াজ আছে। তারই অংশ হিসেবে আমরাও শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছি। পর্যালোচনা শেষ হলে তা পরিমার্জনের কাজ শুরু করা হবে। এর আলোকে বইও পরিমার্জন করা হবে।’

জানা গেছে, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই পরিমার্জনের সঙ্গে শ্রেণীঘণ্টা এবং বার্ষিক পাঠসংখ্যা ও পরিকল্পনা জড়িত। পাশাপাশি শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াও নির্ধারণ করা হয়। দুই প্রক্রিয়ায় শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। একটি হচ্ছে নিড অ্যাসেসমেন্ট এবং আরেকটি শিক্ষাক্রম রিভিশন। প্রথম ধাপে বিদ্যমান শিক্ষাক্রমের ত্রুটিবিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতা বের করা হয়। এজন্য বিশেষজ্ঞ দলকে সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কাছে পর্যন্ত যেতে হয়। এ প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ‘ইফেকটিভনেস’ বা ‘নিড অ্যাসেসমেন্ট’। বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে এ দুটি প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে অবশ্য প্রাথমিক স্তরের কাজ তুলনামূলক এগিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রাথমিক স্তরের নিড অ্যাসেসমেন্ট’র স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা কাজের অগ্রগতি দেখাতে গিয়ে প্রথমে এই স্তরে নিড অ্যাসেসমেন্ট ছাড়াই শিক্ষাক্রম রিভিশন (পর্যালোচনা) শুরু হয়। পরে অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখে রিভিশন স্থগিত রেখে নিড অ্যাসেসমেন্ট কাজ করা হয়।

বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ চলছে।

এদিকে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার প্রবেশদ্বার প্রাক-প্রাথমিক স্তর বা শিশু শ্রেণী। কিন্তু এ স্তরের কারিকুলাম পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ২০২১ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও ২০২২ সালে দেয়া হবে শিশু শ্রেণীতে।

অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমও পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৩ সাল থেকে সাধারণ শিক্ষার বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ বিভিন্ন বিষয় মাদ্রাসায়ও পাঠ্য করা হয়েছে। এসব বিষয় বাদে মাদ্রাসার বিশেষায়িত ৩৪টি পাঠ্যবইয়ের শিক্ষাক্রমও পরিমার্জন করা হচ্ছে। এরপর এসব বিষয়ে পাঠ্যবই প্রণয়ন করা হবে। এনসিটিবির নতুন আইন অনুযায়ী এ কাজও সংস্থাটির অধীনে হওয়ার কথা। কিন্তু মাদ্রাসা সংক্রান্ত সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনেই কাজটি চলছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ তিন ভাগে পরিচালিত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান শনিবার  বলেন, ‘শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের জন্য মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পর তা বর্তমানে পর্যালোচনার কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলেই শিক্ষাক্রম রিভিশন বা পরিমার্জন শুরু হবে। পরে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন পাঠ্যবই প্রণয়ন করা হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দু’বছরে উন্নীত হতে পারে। বর্তমানে এটি এক বছর আছে। এজন্য এই স্তরের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনায় আমরা একটু সময় নিচ্ছি।

মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এনসিটিবির সদস্য (মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আগে আমরা নিড অ্যাসেসমেন্ট করব। এজন্য তথ্য সংগ্রহ করা দরকার। সারা দেশকে নয়টি শিক্ষা অঞ্চলে ভাগ করে ১৮টি টিম কাজ করছে। ওই টিমগুলো শহর-গ্রাম নির্বিশেষে জেলা-উপজেলা ভাগ করে নিয়ে আগের শিক্ষাক্রমের ওপর নিড অ্যাসেসমেন্ট করবে। এ কাজে সারা দেশে ১৭০ থেকে ১৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। স্কুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রসর, অনগ্রসর, দুর্গম অঞ্চল এবং সাধারণ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বালিকা ও বালক বিদ্যালয়, ক্যাডেট কলেজসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে তা পর্যালোচনার পর বিদ্যমান শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ শুরু করা হবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফউল্যা। তিনি বলেন, তিন বছর ধরেই আমাদের পাঠ্যবই নিয়মিত মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা আগেভাগে শিক্ষাক্রম মূল্যায়ন শুরু করেছি। এ কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এরপর পরিমার্জিত বই প্রণয়নের কাজে হাত দেয়া হবে।

জানা গেছে, মাদ্রাসার বইয়ে যাতে জিহাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেয়ার মতো তথ্য ও পাঠ না থাকে, সে ব্যাপারে ২০১৬ সাল থেকেই কাজ চলছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের পরামর্শে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশে এখন পর্যন্ত তিনদফায় বইয়ে পরিমার্জন আনা হয়। এক্ষেত্রে আরবি ও কোরআন-হাদিস এবং ফিকহের মতো বিষয় অগ্রাধিকার পায়। তবে এবারের পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দফতরের পরামর্শের জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশনা অনুসৃত হচ্ছে।

জানা গেছে, শুধু মাদ্রাসার বইয়েই নয়, স্কুলের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়নেও ৪টি দিক গুরুত্ব পাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০৩০ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) চার নম্বর লক্ষ্য, রূপকল্প-২০৪১, আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার। বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাক্রম একটি জাতির শিক্ষাদর্শন, যেটির আলোকে আগামী প্রজন্মকে তৈরি করা হয় পরবর্তী ২০-২৫ বছর পর তারা কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে সেজন্য। এজন্য শিক্ষাক্রম তৈরিকালে শিক্ষার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও শিখন ফল ইত্যাদির মধ্য দিয়ে আগামী দিনের জন্য আজকের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। ২০৪১ সালে দেশ কোথায় যাবে বা ২০৩০ সালে বিশ্ব কোন ধরনের নাগরিক চায়, তা উল্লিখিত চারটি নীতি, কৌশল ও ইশতেহারে বিবৃত আছে। এ কারণে শিক্ষাক্রম পরিমার্জনকালে আমরা এগুলো সামনে রাখছি।

বর্তমানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২৪টি পাঠ্যবই পড়ানো হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১৩টি বই, নবম-দশম শ্রেণীতে ২৭টি বই ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে ৩৯টি পাঠ্যবই আছে। অবশ্য বিজ্ঞান, মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজে ভাগ হওয়ায় নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে সব শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ের বই পড়তে হয় না।

গুরুত্ব পাচ্ছে পরীক্ষাবিহীন মূল্যায়ন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে এরই মধ্যে দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এর একটি হচ্ছে, দু’বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, আরেকটি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা। প্রথমটির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে দ্বিতীয়টির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করবে। তবে জানা গেছে, শিক্ষাক্রম তৈরির ক্ষেত্রে এনসিটিবির বৈঠকে পরীক্ষা তুলে দিয়ে ‘ধারাবাহিক মূল্যায়ন’র প্রস্তাব এসেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য তিন মাস পরপর পরীক্ষার প্রস্তাব দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে এ ক্ষেত্রে বিরোধিতাও এসেছে। পরীক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীর ক্লাস কার্যক্রমের ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে বছর শেষে পরবর্তী ক্লাসে পদোন্নতির প্রস্তাব এসেছে। তবে শিক্ষাক্রমে কী রাখা হবে, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034849643707275