শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও করোনায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফসহ দেশের শিক্ষা সংকট নিরসনে ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি’ নামের একটি ভুইফোঁড় ও বিতর্কিতদের সংগঠন। ২৪ আগস্ট প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকজন ভাড়া করা লোক নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এর আগে অভিভাবক ফোরাম নামের আরেকটি টাউট ও ভবঘুরেদের সংগঠন বিবৃতি দিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার আহ্বান জানিয়েছে।
টাউট সংগঠনের স্বঘোষিত নেতারা বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দি থাকায় তারা নানারকম মানসিক হতাশায় ভুগছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া আবশ্যক।
এছাড়া করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবি জানান তারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এ বিষয়ে স্মারকলিপি পাঠাবে বলেও জানানো হয় ৮/১০ জনের মানবন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম, গবেষণা ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ড. সৈয়দ আল-আমিন রোমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুর রহমানসহ কয়েকজন।
এর আগে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে টাকা নিয়ে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতি ‘শিক্ষার্থী ও গুণীজন সংবর্ধনা’ দেওয়ার অভিযোগে এই সংগঠনের দুজনকে আটক করে পুলিশ।
‘বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি’র সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা সৈয়দা তাসলিমা লিমাকে আটক করা হয়।
উল্রেখ্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধনের জন্য ভাড়ায় লোক পাওয়া যায়। একই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে কখনো অভিভাবক ফোরামের নেতা-কর্মী, কখনো শিক্ষক সংগঠনের কর্মী, কখানো গার্মেন্টস কর্মী, কখনো পাটকল আবার কখনো রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে মানবন্ধন ও মিছিলে অংশ নেন। কতিপয় নামধারী সাংবাদিক এগুলো বাছবিচার না করে সংবাদ প্রকাশ করে দেয়। সেই সংবাদগুলোই ফেসবুকে ঘুরতে থাকে।
