যার আছে সেই পাক আর যার নাই সে নিপাত যাক। কেউ কি এমনটা চায়? না এমন হওয়াকে কেউই সমর্থন করে না। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ব্যবস্থায় এমনটিই লক্ষ করা যায়। ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সহায়ক হিসেবে বৃত্তি দিয়ে থাকে। তারা কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার ব্যয় বহনে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়। এটা খুব ভালো দিক।
তাদের এ টাকা সত্যিকারের গরিব ও মেধাবী ছাত্ররা পেলে সেটা তাদের জন্য স্বস্তির হতো। কিন্তু আসলে যা ঘটে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাদের আদৌ বৃত্তির প্রয়োজন নেই তারা পায় আর যাদের প্রয়োজন তারা পায় না। অনেক সচ্ছল ছাত্রছাত্রী বৃত্তির আবেদনের সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের গরিব ছাত্রদের কাতারে দাঁড় করায়। যে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বৃত্তি দিয়ে থাকে তারা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে না যে তারা আদৌ পাওয়ার যোগ্য কি না? এ কারণে গরিব ও মেধাবী ছাত্র একের পর এক আবেদন করে বৃত্তি না পেয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খেতে শুরু করে।
পড়াশোনা চালাতে কৃষক-শ্রমিকের কাজ করতে হয় তাদের। আবার অনেকে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। তাই শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আবেদন—তারা যেন গরিব মেধাবী ছাত্রদেরই বৃত্তি প্রদান করে।
দিঘিরহাট, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক