শিক্ষার অবকাঠামো বেড়েছে, মানোন্নয়ন হয়নি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশে শিক্ষার সম্প্রসারণ, শিক্ষকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও দেশব্যাপী শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মানোন্নয়ন হয়নি। শিক্ষার মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন দেশের শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ঢালাওভাবে পাসের হার বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের অধীন শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের পরিবর্তে আমলারা ওই সুযোগ নিচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন রাকিব উদ্দিন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল অবস্থায় নেয়ার লক্ষ্যেই সরকার ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রবর্তন করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে বহুল প্রত্যাশিত শিক্ষানীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই শিক্ষানীতির আলোকে দেশে একটি ‘সমন্বিত শিক্ষা আইন’ প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও দুই মন্ত্রণালয়ের ভিন্নমত ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কারণে এই আইন করতে পারছে না সরকার। আইন না থাকায় শিক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। এই অবস্থায় আজ পালন হচ্ছে মহান ‘শিক্ষা দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে শিক্ষার মান বিষয়টি সামনে আনছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা।

‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির বলেন, শিক্ষার মান বাড়েনি, বাড়ছেও না। শিক্ষার্থীদের পাস করানোই যেন আমাদের লক্ষ্য। শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না। উপরের স্তরে ঢালাওভাবে প্র্যাকটিকাল নম্বর দিয়ে ১০০ নম্বরের স্থলে ১০০ নম্বর দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে না। শিক্ষা আইন না থাকায় শিক্ষায় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হয়নি। শিক্ষকরা ২-৩ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন। পড়াবেন কখন? আর সরকারি শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভালো পদের পেছনে দৌড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত দুই মেয়াদে শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন ও শিক্ষা আইন প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন পরিকল্পনাই নেই। মনে হচ্ছে, তাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্টও নেই। সবকিছু আমলাদের ঘাড়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদ এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। পাকিস্তানি শাসকদের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকেই। ওই আত্মত্যাগীদের স্মরণ করতেই এদিনটিকে পালন করা হয় শিক্ষা দিবস হিসেবে।

শিক্ষানীতি প্রবর্তন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐতিহাসিক ‘শিক্ষা দিবস’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষা আন্দোলনের পর থেকে দেশে বেশ কয়েকটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন হলেও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাবে কোনটিই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়, সেটির সদস্য ও প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেছেন, এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেটি দেখা যাচ্ছে না। দু’মন্ত্রণালয়ই আলাদা আইন করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে শিক্ষানীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নীতি বাস্তবায়ন প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া প্রশাসনকে এটি বাস্তবায়নে বাধ্য করা সম্ভব নয়। অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সমন্বিত শিক্ষা আইনের বিকল্প নেই।

শিক্ষা বিশ্লেষকরা জানান, ২০০৯ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দুই মেয়াদে শিক্ষা বিষয়ে নেয়া বেশকিছু কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। এর মধ্যে ছিল শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের সময় কমিয়ে আনা এবং নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অনলাইন পদ্ধতির প্রবর্তন যাতে ভর্তি বাণিজ্য রোধ হয়, এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা, ৫ শতাধিক হাই স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, অর্ধশত নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও নতুন কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অন্যতম। এছাড়া গত দশ বছরে ১১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ এবং আরও ১২ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শেষ হবে। ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে পুরনো জরাজীর্ণ ভবনগুলোয়। সব মিলিয়ে ১০ বছরে সারাদেশে ২৩ হাজার ৯৭৯টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) মাধ্যমে। এই সময়ে জরাজীর্ণ আরও ৭ হাজার ৬৪১টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সংস্কার করা হয়েছে।

শিক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে গত ৮-৯ মাসে শিক্ষা প্রশাসনের নতুন কোন পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী দেয়া হলেও রুটিন কাজের পাশাপাশি তাদের মূল্য কাজ যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন। এ নিয়ে নানা অভিযোগও রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একই পন্থা অনুসরণ করে চলেছে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও শিক্ষা আইন প্রণয়নে দুই মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত যৌথ কোন প্রয়াস গ্রহণ করতে পারেনি। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও ব্যাপক হারে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা বদলি এবং পদায়ন করেছে। এ নিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বিতর্ক রয়েছে। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত ছাড়াই তারা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা আইন না থাকায় কোচিং ব্যবসা ও নিষিদ্ধ, নোট-গাইড বাণিজ্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে অনিয়মও পুরোপুরি রোধ হচ্ছে না। স্কুল ও কলেজ এবং শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে বদলি ও পদায়ন নিয়ে প্রায়ই অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মাদরাসায় অনেক শিক্ষক অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এমপিও সুবিধা ভোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেই।

জানা গেছে, তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তার ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শরীফ কমিশনখ্যাত শিক্ষা কমিশন। পরের বছরে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগস্ট কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনা ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চ শিক্ষা ধনীকশ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেয়া ‘শরীফ কমিশন’-এর শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পেটুয়া পুলিশ বাহিনী। এরই এক পর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন। তখন থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এদিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

শিক্ষা দিবসের কর্মসূচি : এ উপলক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদে (স্বাশিপ) পক্ষ থেকে ‘আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী। এ সময় দেশবরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। এটি সঞ্চালনা করবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। অন্যদিকে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি)। শিক্ষক ও বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের অংশগ্রহণে এর আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর ১৩৭ ডি/এ গ্রিন রোডে আইএইচডি অফিসে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আইএইচডি চেয়ারপারসন অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068190097808838