শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শতবর্ষী মাগুরা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়

মাগুরা প্রতিনিধি |

মাগুরা জেলা সদরে অবস্থিত শতবর্ষী মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এখনও শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। বিদ্যালয়টি শিক্ষা ছাড়াও ক্রীড়া সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলো ছড়াচ্ছে।

প্রথমে বিদ্যালয়টি ছিল বর্তমান সরকারি মহিলা কলেজের স্থানে। পরে এমআর রোড বর্তমান ক্যাম্পাসে আসে। মডেল হাই স্কুলে ১৮৯৯ সালে মেয়েদের শিক্ষার জন্য এ স্কুল চালু করা হয়। তখন একসঙ্গে ছিল। প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন শারদা চরন বসু। তিনিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট আইনজীবী পূর্ণ চন্দ্র চ্যাটার্জীর জমিতে ১৯০৩ সালের ১০ জুন বর্তমান ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার প্রয়াত স্ত্রী মহালক্ষ্মীর নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়। এরপর মাগুরা বালিকা বিদ্যালয় এবং পরে মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।

১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। তখন নামকরণ করা হয় মাগুরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। বর্তমান ক্যাম্পাসে বিদ্যালয়টি ১.৭৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। রয়েছে তিনটি দ্বিতল একাডেমিক ভবন। প্রথম প্রধান শিক্ষক শারদা চরন বসু, সরকারিকরণের সময় প্রধান শিক্ষক ছিলেন নুরুননেছা বেগম। সর্বশেষ বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন লিপিকা সরকার।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে দ্বিতল একাডেমিক ভবন, খেলার মাঠ পুকুর প্রভৃতি রয়েছে। বিদ্যালয়ে ডবল শিপট চালু রয়েছে। দুই শিফটে ১২’শ ৩৩ জন ছাত্রী লেখাপড়া করছে। ৫৩ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছেন ৩০জন। এর মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং অন্যরা সহকারী শিক্ষক। ২৩টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান বরাবরই ভালো। এ বছরও এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ভালো করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।

বর্তমান প্রধান শিক্ষক লিপিকা সরকার জানান, পুরো বর্ষাকালে ক্যাম্পাসে দুই ফুট পানি জমে থাকায় এ্যাসেমবিল হয় না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যালয়ে কোনো অডিটরিয়াম নেই। একটি অডিটরিয়াম দরকার। শ্রেণিকক্ষেরও স্বল্পতা রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার - dainik shiksha সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার আগে নোট-গাইড ছাপা বন্ধের নির্দেশ - dainik shiksha পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার আগে নোট-গাইড ছাপা বন্ধের নির্দেশ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলা চিঠি - dainik shiksha ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলা চিঠি শিক্ষকদের সতর্ক করে বদলি আবেদনের তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha শিক্ষকদের সতর্ক করে বদলি আবেদনের তারিখ ঘোষণা ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাকৃবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর - dainik shiksha বাকৃবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জুলাই আন্দোলনকে ভারতের স্বীকৃতি দেয়া উচিত - dainik shiksha জুলাই আন্দোলনকে ভারতের স্বীকৃতি দেয়া উচিত please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063760280609131