শিক্ষার মান নিয়ে যে কারণে প্রশ্ন ওঠে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

উন্নয়ন আর অগ্রগতির মহাসড়কে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বেশ পাকাপোক্ত। দারিদ্র্যের খাঁচা থেকে বের হয়ে সমৃদ্ধির পথে সাবলীল গতির সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জনেও অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। স্বাবলম্বী হওয়ার কঠিন যুদ্ধে বড়ো অর্জন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর। বিশ্বব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে শিক্ষার হার। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি এবং তা বিতরণ। অথচ আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সার্বিক গবেষণা কার্যক্রমের চিত্র হতাশাজনক। মানসম্মত শিক্ষা কিংবা গবেষণায় উদাসীন হলেও অবকাঠামো নির্মাণে ব্যতিব্যস্ত দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অপরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীসংখ্যা বৃদ্ধি, অপ্রয়োজনীয় বিভাগ চালু, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন তলাবিহীন ঝুড়ির মতো। একুশ শতকের উপযোগী শিক্ষা ও উন্নয়ন সহায়ক মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণমানের দিকে ‘সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার ২০১০ সালে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাশ করেছে। দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে শতাধিক। উচ্চশিক্ষার প্রসারে বর্তমান সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ছয়টি এবং ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। উচ্চশিক্ষার প্রসারে সরকার প্রথম দেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে নতুন দুটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরো একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষার প্রসারে বর্তমান সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা’ ট্রাস্ট গঠন করেছে। উচ্চশিক্ষার গুণমান নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন’ পাশ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মানসমৃদ্ধ করা এবং তাদের তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ প্রতিষ্ঠার কাজও এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

কিন্তু পরিতাপের বিষয়, উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে সরকারের এত এত পদক্ষেপের পরও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০২০-এর প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ১ হাজারের ভেতর স্থান পায়নি। তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১ হাজারের পর। র্যাংকিংয়ে বিদেশি ছাত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে শূন্য। অর্থাত্ বিশ্ববিদ্যালটির ৪ হাজার ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী নেই কিংবা থাকলেও সেই সংখ্যা সন্তোষজনক নয়। তালিকাটি লক্ষ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ ভালো করেছে। এই তালিকায় ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজারের মধ্যে রয়েছে ভারতের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি রাজনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অস্থিতিশীল দেশ পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থানও বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। তালিকায় ১ হাজারের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়।

আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত বেশ কটি নির্দেশক গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, বিদেশি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকসংখ্যা, গবেষণাসংখ্যা, গবেষণা প্রকল্প, গবেষণার সাইটেশান সংখ্যা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা, সাবেক ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান প্রভৃতি।

আধুনিক উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক গবেষণার মান নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর মৌলিক কোনো গবেষণা হয় না বললেই চলে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই প্রাইভেট। আমাদের দেশের চিত্র ভিন্ন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার নাজুক চিত্র বিদ্যমান। আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যাপারটি স্বস্তিদায়ক নয়। বর্তমানে আমাদের দেশে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা খুব একটা চোখে পড়ে না। বিশ্বজনীনতার যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ও উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতি বছর সফটওয়্যার নতুন ভার্শন, নতুন নতুন প্যাকেজ ও টুল বের হচ্ছে। এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সর্বশেষ আর্টিকেল, বই, রিপোর্ট সম্পর্কে অবগত না থাকলে আমাদের গবেষণার মান উন্নত হবে না। আমাদের দুর্ভাগ্য, অনেক বিভাগের শিক্ষকই শিক্ষকতা শুরুর দিকেই কেবল বিভাগের নোটপত্র তৈরি করেন, অথবা তার ছাত্রকালীন নোটই ক্লাস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন। এভাবে চলতে থাকে বছরের পর বছর। ফলে তার জ্ঞানের গভীরতা ও পরিধি যেমন বাড়ে না, তেমনি শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত হয় প্রাগ্রসর জ্ঞানের সংস্পর্শ থেকে।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ দিয়ে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো এবং উচ্চশিক্ষা ও যৌথ গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি। এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরো বেশি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়; কিন্তু যুগোপযোগী জ্ঞানার্জন ও যৌথ গবেষণার এই সুযোগ আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্রিয় তত্পরতা চোখে পড়ে না।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় কেবল পদোন্নতির জন্যই শিক্ষকদের একটি অংশকে আর্টিকেল লেখা বা গবেষণা সংক্রান্ত কাজে দেখা যায়। এ অংশের শিক্ষকগণকে পদোন্নতির পর আর গবেষণা বা আর্টিকেলের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেখা যায় না। অথচ কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত এগিয়ে রাখতে পারে। এই তো কয়েক বছর আগেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালোভাবেই চোখে পড়ত। বর্তমানে সে সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। একটি বিভাগ থেকে বছরের পর বছর যদি মানসম্মত জার্নাল বের না হয়, উল্লেখযোগ্য গবেষণা না করা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আর্টিকেল না প্রকাশিত হয়, তবে কেন বাইরের শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে আকৃষ্ট হবে।

এক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে হলে তার গবেষণাকর্মে অর্থায়ন অপরিহার্য। এটি করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারকে। একজন ভালো গবেষককে গবেষণাকর্মে উত্সাহিত করতে হলে তার জন্য চাই প্রণোদনা প্যাকেজ। ইউজিসি দেশের সেরা গবেষকদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এমন উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও নিতে হবে। ভালো পরিবেশ, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা না পেলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। সরকার শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেয়, তা আরো বাড়াতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নানা বঞ্চনার শিকার হয়ে দেশের বাইরে গেছেন, তাদের বড়ো এক অংশ নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। কখনো রাজনৈতিক কারণেও এদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ভূমিকাটা নিতে হবে ইউজিসিকেই।

পরিশেষে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমাদের দেশের পড়ালেখার ক্ষেত্রে গুণমান একেবারে পানির স্তরের মতো নিচে নেমে যায়নি। অথবা উড়ে যায়নি কর্পূরের মতো। শিক্ষার মান ও শিক্ষাগত পদ্ধতির ব্যাপারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এখনো শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। আগের যুগে জিপিএ পদ্ধতি ছিল না। প্রতি শিক্ষা বোর্ড থেকে মাত্র ২০ জন করে শিক্ষার্থী বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান পেত। আমার মনে আছে, আমার দেখা এমন কয়েক জন শিক্ষার্থী, যারা বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান করেছিল, পরবর্তীকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছে। আবার প্রথম বিভাগ না পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফল লাভ করে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বিসিএসে সেরা হয়েছে। বর্তমানেও বিরাজ করছে একই অবস্থা। তবে আমাদের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় যেমন হতাশার দিক রয়েছে, ঠিক তেমনি আশার দিকও রয়েছে। বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে, তাদের অনেকেই অত্যন্ত মেধাবী। গবেষণা, শিক্ষা, আবিষ্কার, উদ্ভাবন, লেখালেখি, সামাজিক উদ্যোগ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এসব শিক্ষার্থী অনেকক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও পেছনে ফেলে যাচ্ছে। তাদের কারো কারো গবেষণার মান অনন্য। আমি শিক্ষক, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে সম্ভাবনাময় সে শিক্ষার্থীকে ছোটো করে উপস্থাপন করতে পারি না। তার প্রতিভার বিকাশ রোধে তাকে অবহেলা করতে পারি না। দুঃখের কথা, কতিপয় শিক্ষকের মধ্যে এমন আচরণও দেখা যায়। তারা নিজ শিক্ষার্থীর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেওয়ার মানসিকতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। এটাকে সেই শিক্ষকের সংকীর্ণচিত্ততা ছাড়া আর কী বলা যায়!

লেখক : ড. শরীফ এনামুল কবিরসাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029771327972412