গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভুল ইঞ্জেকশন পুশ করা দুই নার্সকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে কর্তব্যকাজে আরো সচেতন হতে বলা হয়েছে। গত সোমবার এই তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় নার্সের ডিজির দপ্তরে পাঠানো হয় বলে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার অসিত মল্লিক নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ মে গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটি গত রোববার বিকেলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়।
উল্লেখ্য, পিত্তথলির পাথর হওয়ার কারণে গত ২১ মে সকালে মুন্নির অপারেশনের দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স তাঁকে গ্যাসের ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ঘটনায় ২২ মে রাতে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ডা. তপন কুমার মণ্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মুন্নির বড় ভাই হাসিবুল হাসান রুবেল বলেন, মুন্নির অবস্থা উন্নতির দিকে। শিগগিরই তার জ্ঞান ফিরতে পারে।