শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাউন্সিলিং দিতে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ‘শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাউন্সিলিং দিতে’ জাতীয় নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাউন্সিলিং দিতে জাতীয় নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করেছে কমিটি। এ খসড়া নীতিমালাটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আগামী ১৬ জুলাইয়ের সভায় কর্মকর্তাদের মতামত হবে। নীতিমালা চুড়ান্ত করার বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাউন্সিলিং দিতে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১ মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যা, জোর প্রদর্শনসহ যে কোন ধরণের ইনজুরি প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং সেবা প্রদানের জাতীয় নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছিল এ কমিটিকে। সে প্রেক্ষিতে নীতিমালারৈ খসড়া তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নানকে কমিটির সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল আমিন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
বিভাগের উপসচিব মাকসুদা হোসেন, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোল্যা সাইফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান
তাহেরা আক্তার।
গত ডিসেম্বরে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যার ঘটনার পর ‘শুধু শিক্ষার্থী নয়
শিক্ষকদেরও মানসিক কাউন্সেলিং দরকার’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। সে প্রেক্ষিতই আত্মহত্যা প্রতিরোধে নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার।