আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদুজ্জামান।
এর আগে দুপুর ১টা থেকে মেয়র আতিকুলের সঙ্গে বৈঠকে বিইউপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তিন ঘণ্টা বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী প্রমুখ।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী মো. তাওহিদ আল জামান বলেন, ‘আমাদের ৩টি দাবি ছিল। দাবিগুলো হচ্ছে - সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত কোম্পানির যে বাসের ধাক্কায় আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হয়েছিলেন সে বাসের ড্রাইভারের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের চার্জশিট দাখিল; সুপ্রভাত ও জাবালে নূর বাস সার্ভিসের রুট পারমিট স্থগিত করা এবং ঢাকা শহরে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় যেখানে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস, জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার ইত্যাদি স্থাপন করা দরকার তার একটি পরিকল্পনা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রণয়ন করে তা অবিলম্বে প্রকাশ করা। সময় সাপেক্ষে মেয়র দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন। আগামী ২৮ মার্চ সকাল ১১টায় অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে মেয়রের আবারো মিটিং হবে। কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট না হলে ২৮ মার্চ থেকে আবার দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হবে। তাই ২৮ তারিখ পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করা হলো।’
অন্যদিকে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রগতি সরণিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটে একটি ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সুপ্রভাত পরিবহনের সকল বাস চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। আর জাবালে নূরের সকল বাসের চলাচল স্থগিত করতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি জানান, দেশের প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকে সুপ্রভাত বাসের সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মেয়র ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করেন। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬টি কোম্পানির অধীনে বাস চলাচল বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান।