করোনার প্রাদুর্ভাব কমার পর স্কুল কলেজ খুললেই ক্লাস হাজিরা নিয়ে কড়াকড়িতে পড়বে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের শ্রেণী হাজিরা নিশ্চিত করতে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এ সফটওয়্যার চালু হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে প্রবেশ করলেই উপস্থিতি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে বোর্ডে। বছর শেষে ৭০ শতাংশের কম উপস্থিত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করবে সফটওয়্যার।
চিহ্নিত শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষা বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে গণ্য হবে। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে উপস্থিত না হয়ে চলে যায় কোচিং সেন্টারে। তারা অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার সময় শুধু পরীক্ষা দেয়। ফরম পূরণের সময় শিক্ষকদের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে, শিক্ষকরা কড়াকড়ি করলে আঞ্চলিক চাপে শিক্ষকরা ফরম পূরণে বাধ্য হন।
এসব শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষা দিলে ফল খারাপ করে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত রাখা বা কোচিং সেন্টার থেকে দূরে রাখার জন্যই এই বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। করোনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের আঙ্গুলের ছাপে হাজিরা নেয়া হবে। এর পূর্বে সফটওয়্যার মেমোরিতে শিক্ষার্থীদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষিত থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজিরা দিলে বোর্ডের সফটওয়্যারের শিক্ষার্থী প্যানেলে যোগ হবে। ফলে কোন শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭০ শতাংশ উপস্থিত না হয়ে ফরম পূরণের জন্য বোর্ডের অনলাইনে আবেদন করলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্যা আমীর হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে উপস্থিত না কিংবা নির্বাচনী পরীক্ষা অকৃতকার্য হয়ে ফরম পূরণ করতে প্রতিষ্ঠানে আসে। প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি ফরম পূরণ করতে না দেয় তখন বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটায়। এ সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকরা চাইলেও কোন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করাতে পারবে না। এমনকি বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ফরম পূরণের চেষ্টা করলেও সফটওয়্যার তা গ্রহণ করবে না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিকল্প কিছুই থাকবে না।