প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে পাঠ্যবইয়ের বাইরেও নিষিদ্ধ গাইড বই কেনার জন্য নীলফামারীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। গাইড বইয়ের প্রয়োজন না হলেও প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু শিক্ষক নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করছে শিক্ষার্থীদের।
প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সবখানেই এ সিন্ডিকেটের লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য চলছে। বুধবার এক অভিযোগে জানা যায়, লেকচার, অনুপম, জননী, দিকদর্শনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর রিপ্রেজেন্টেটিভ ভরে গেছে এ জেলা। তারা শিক্ষক আর সমিতিকে সমন্বয় করিয়ে উপজেলা ভিত্তিক নির্দিষ্ট গাইড বই চাপিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে বইয়ের মূল্য চলে গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীর হাতের নাগালের বাইরে।
সরকারিভাবে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হলেও থামানো যায়নি অবৈধ গাইড বইয়ের ব্যবসা। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে বই নিষিদ্ধকরণ আইনে এসব বই ছাপা ও বাজারজাত করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও নীলফামারীতে চলছে পুরোদমে এই ব্যবসা।
অভিযোগ রয়েছে, নীলফামারী সদর, ডোমার, সৈয়দপুর ও জলঢাকা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ শিক্ষক এসব বই বাজারজাতের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ফায়দা হাসিল করছেন। শিক্ষকরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে নির্ধারিত করে দিচ্ছেন- কোন স্কুল কোন গাইড বই ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন : শিক্ষা আইনে কোচিং বন্ধ না হলে নোট-গাইড নিষিদ্ধ করে লাভ হবে না
প্রশিক্ষণ পেয়েছেন সোয়া ৯ লাখ শিক্ষক তবু প্রশ্ন নোট-গাইড থেকেই
প্যাকেজে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড, সহযোগিতায় শিক্ষক
গাইড-নোট বই, কোচিং প্রতিরোধ্য কী!
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গাইড বই কিনতে বাধ্য করানোর অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য- ক্লাসে বুকলিস্ট দিয়ে নির্দিষ্ট প্রকাশনার নোট, গাইড, গ্রামার ও ব্যাকরণ বই কিনতে বলা হয়। ফলে কিছু করার থাকে না। বাধ্য হয়েই কিনতে হয়। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক জানায় একটি সিন্ডিকেট বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুলে ভরা নিম্নমানের এসব বই। এমন বইয়ে বাধ্য করে শিক্ষার্থীদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে মুখস্থ বিদ্যার দিকে।