শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার বাড়ছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আইসিটি এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো অনেক বেড়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি পূর্নাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল কিডস এশিয়া প্যাসিফিক (ডিক্যাপ) প্রকল্পের আওতায় একটি গবেষণার ফল প্রকাশ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এবং বাড়িতে কিভাবে আইসিটি ব্যবহার করবে এবং আইসিটির প্রতি শিশুদের মনোভাব, আচরণ, দক্ষতা এবং শিশুর শিক্ষার ক্ষেত্রের ব্যবহার কেমন হবে তার ওপর গবেষণার মাধ্যমে একটি পূর্নাঙ্গ নীতিমালাটি তৈরি করতে হবে। অনলাইন এবং ইন্টারনেট থেকে বিষয়বস্তু গ্রহণের ক্ষেত্রেও একটি পাঠ্যসূচি ও শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনজুর হোসেন, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ও রিপ্রেজেন্টেটিভ বিয়াট্রিস কালডুন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান।
কর্মশালায় ডিক্যাপ প্রকল্প সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান। ডিজিটাল কিডস এশিয়া প্যাসিফিক (ডিক্যাপ) গবেষণার ফলাফল বিষয়ে উপস্থাপন করেন প্রফেসর সালমা আক্তার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিজি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নবম গ্রেডের শিশুদের উপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।