ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের রতনপুর চর বাঘিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। যেকোনো মুহূর্তে পরিত্যক্ত ভবনটি ধসে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী বলছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে এমন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও থাকতে পারে সেটাই বিশ্বাস করা যায় না।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সাড়ে ৬২ শতাংশ জমির উপর একটি টিন শেডের আধাপাকা ভবনে কার্যক্রম শুরু করা হয় স্কুলটির। পরবর্তীতে ১৯৯৩/৯৪ অর্থবছরে এলজিইডি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়। যার ঠিকাদার ছিলেন একই ইউনিয়নের ঘোড়া আকমল নামের এক ঠিকাদার। কিন্তু তিনি ভবন নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ছাদ থেকে ঢালাইয়ের বড় বড় অংশ হঠাৎ খসে পড়ছে। তবে ঢালাই খসে পড়লেও রডের দেখা মিলছে না তেমন।
গত দুই বছর আগে ভবনটি ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর এখনও নতুন কোনো ভবনের মুখ দেখেনি সেখানকার শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু-শিক্ষার্থীদের সেই পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করতে হয় বছর জুড়ে।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন জানায়, ক্লাস করার সময় ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ে। আমাদের এ স্কুলে ক্লাস করতে ভয় হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে সহকারী জেলা প্রাথমিক অফিসার লক্ষণ কুমার দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, শৈলকুপা উপজেলা থেকে আমাদেরকে জানানো হয়নি। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।