বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় সেখান থেকে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে দুজন দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন এক নারীসহ আরো দুজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের হিলচিয়া ইউনিয়নের বেলভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই দিনমজুরের নাম মিষ্টু মিয়া (৪০) ও সুমন মিয়া (৩৫)। চার সন্তানের পিতা মিষ্টু মিয়া ভ্যান চালাতেন আর দুই সন্তানের পিতা সুমন মিয়া দিনমজুরি করতেন। এ ঘটনায় আব্দুল করিম নামে আহত একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত রাবেয়া খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, হিলচিয়া থেকে বেলভিটার দিকে পিডিবির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রয়েছে। হিলচিয়ার হাজি রঞ্জু মিয়াসহ কয়জন এই লাইন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে সেচ প্রকল্প চালান। গতকাল সকালে গ্রামের পাশের ওই লাইনের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে আগুন জ্বলতে থাকলে বিদ্যুৎ চলে যায়। ওই সময় হিলচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী এ পথ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই সময় সেখানে অবস্থান করা মিষ্টু মিয়া ‘তারটা সরাইয়া দেই। না-অইলে এরা (শিক্ষার্থীরা) বিফদ ফড়বো’ বলতে বলতে পড়ে থাকা তারটি সরাতে যান। এ সময় বিদ্যুতের লাইনে আবার বিদ্যুৎ এসে পড়লে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তড়িতাহত হন সুমন মিয়া ও আব্দুল করিম। পরে এই দুজনকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই সময় ঘটনাস্থলের মাটি বিদ্যুতায়িত হলে রাবেয়া খাতুন সামান্য আহত হন।
বাজিতপুর পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন জানান, লাইনের কাছে কাঁচা ধান মাড়াইয়ের কাজ করায় ওপরের তারে জড়িয়ে লাইনে শক হয়। যে কারণে গত বুধবার থেকেই বারবার লাইন ট্রিপ করছিল। একই কারণে বৃহস্পতিবার তার ছিঁড়ে পড়লে লাইন ট্রিপ করতে দেরি করে। ততক্ষণে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।