শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা এবং পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। সার্বিক বিকাশের জন্য সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি প্রয়োজন। মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে এসব কর্মকান্ড বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বুধবার (২৩ মে) ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) অডিটোরিয়ামে ৪৬ ও ৪৭তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্রীড়া সামগ্রী, সনদ ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তি হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ভালভাবে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক, উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। এজন্য তাদেরকে সুস্বাস্থ্য ও ভাল মনের অধিকারী হতে হবে। খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ছাড়া শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয় না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)-এর মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক এবং দলীয় খেলার অধিনায়কগণ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগতভাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন। সার্বিক বিবেচনায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। আগামী বছরের প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা এবং ২য় স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।