সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালক এবং পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মে) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষা নেয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা পারাপারে সহায়তার দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। বিদেশে যেমন একজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সহায়তা করে তেমনি সেই কাজটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল ফ্লাইওভারসহ নানা উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় ঢাকাবাসীকে এখন একটু কষ্ট পেতে হচ্ছে। একটু কষ্ট সহ্য করলে ভবিষ্যতে যাতায়াত আরও আরামদায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু গাড়িচালককে দোষ দেবেন না। ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন। গাড়িচালক ও পথচারী কেউই যদি ট্রাফিক আইন না মানে তাহলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটবে।
তিনি বলেন, মহাসড়কগুলোতে চালকের বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা নেই। আমরা অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা এবং খাওয়া-দাওয়াসহ যে কোনো গাড়িচালক যাতে বিশ্রাম নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেব।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছোটবেলা থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে আমাদের ছেলেমেয়েদের ধারণা দিতে অভিভাবকদের আহ্বান জানান।