রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের বকচর খুরশিদা ও সেলিনা-তুজ-জোহরা বালিকা হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিমের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে ওই শিক্ষিকার স্বামী মোহতামিমের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ওই শিক্ষিকা জানান, তিনি মাদরাসাটিতে বালিকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকেন। তাঁর স্বামী গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মাদরাসায় নিয়ে আসেন এবং দিনভর এক সঙ্গে থেকে সন্ধ্যার আগে চলে যান। রাতে তাঁর খাওয়ার দুধের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম মাওলানা শোয়াইব হাসান। তিনি (শিক্ষিকা) তন্দ্রাচ্ছন্ন হতেই তাঁকে ধর্ষণ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করেন শোয়াইব। বিষয়টি রাতেই তিনি তাঁর স্বামীকে জানান। স্বামী পুলিশকে জানালে তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ব্যক্তিগত কাজে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করার কথা জানিয়ে মোহতামিম শোয়াইব হাসান বলেন, এটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। সুষ্ঠু তদন্ত এবং ওই শিক্ষিকা ও তাঁর স্বামীর পরীক্ষা করানো হলেই প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছে, ওই শিক্ষিকা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলানোর চেষ্টা করেন। তাই তাঁকে তিনি ধমক দিয়ে শাসন করেছেন। অথচ শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকায় যাওয়ার পর ওই শিক্ষিকার স্বামী মাদরাসায় লোকজন ডেকে আনেন এবং তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, গতকালই ওই শিক্ষিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।