স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে জন্মনিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ হলেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনের হার এখনো সন্তোষজনক নয়। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্মনিবন্ধন করা হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন শতভাগ কার্যকর করতে হবে। এটি করা না হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে।
রোববার (৬ অক্টোবর) কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সঠিকভাবে জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন না হলে সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমনের প্রবণতা বাড়বে, যা সার্বিকভাবে শিশুর অধিকার সুরক্ষা কঠিন হবে। জন্মনিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সিদের জন্য। কিন্তু জন্মসনদ সবার জন্যই প্রয়োজন।
শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। কারণ তারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এবং ইউনিসেফের আয়োজিত এই সেমিনারে অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ মুজিবুর রহমান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মানিক লাল বণিক, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি প্রতিনিধি মিস ভীরা মেনডনকা প্রমুখ।