কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শিশু নির্যাতনকারী সেই মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদ হোসেনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ মে) ভোরে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মান্দুয়ার গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এমদাদ উপজেলার বিপুলাসার নূরানী হাফেজিয়া ইসলামী একাডেমির শিক্ষক।
জানা গেছে, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার নূরানী হাফেজিয়া ইসলামী একাডেমির প্রথম জামাতের পাঁচ বছর বয়সী ছাত্র মো. নোমানকে শিক্ষক এমদাদ মারপিট করে এবং গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করে। শিশু নোমান উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কাঁচি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা খোরশেদ জানান, শিক্ষক এমদাদ হোসেন শিশু নোমানকে ভালোভাবে পাঠ দেওয়ার নামে নিজের আবাসিক ভবনে নিয়ে রাখেন। গত কয়েকদিন ধরে তারা দেখা করতে গেলে ওই শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে তাদের দেখা করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হলে তারা জোর করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। তারা গিয়ে দেখেন নোমানের চোখ মুখ ও দুই উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাতের দাগ রয়েছে। এসময় সে তার বাবা মাকে জানায় ওই শিক্ষক তার গায়ে গরম পানি ঢেলেও নির্যাতন করেছে। তারা এ নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
অন্যদিকে শিশু নির্যাতনের খবর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকার মানুষ ওই শিক্ষককে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে।
নাথের পেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জামির হোসেন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।