এখন থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে শুধুই করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হবে। জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নেবেন খুলনা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে। সেখান থেকে যে রোগীগুলো করোনা সন্দেহ হবে, তাদের রাখা হবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ছাড়া সাধারণ জটিল রোগীরা বিনা মূল্যে সেবা পাবেন শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে।
বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য করোনা প্রতিরোধবিষয়ক গঠিত কমিটি জরুরি ওই সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওই কমিটির প্রধান ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় কমিটির সদস্য সচিব ও সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লাহ, বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনা মেডিকেলে অন্য কোনো রোগী রাখা হবে না। বহির্বিভাগেও কোনো সেবা দেওয়া হবে না। ওই হাসপাতালটি এখন থেকে শুধু করোনা রোগীদের জন্যই ব্যবহূত হবে। সাধারণ সর্দি, কাশির রোগীরা সেবা নেবেন জেনারেল হাসপাতাল থেকে। সেখান থেকে করোনা সন্দেহ রোগীদের পাঠানো হবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হবে ওই রোগীদের।
সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘করোনা মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। এ কারণে বড় পরিসরে মেডিকেল কলেজকেই বেছে নেয়া হয়েছে। সেখানে শুধুই করোনা রোগীরা সেবা পাবেন। সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এই তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে বেছে নেয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালগুলো রোগীদের বিনা মূল্যে সেবা দিতে রাজি হয়েছে।’
জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘কোনো হাসপাতাল করোনো রোগী নিতে রাজি নয়। এ কারণে শুধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেই করোনা রোগীর জন্য সীমিত করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিট অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। সাধারণ যে রোগী আছে, যেমন ডেলিভারি, হৃদরোগী, দুর্ঘটনাসহ অন্য রোগীদের দায়িত্ব নেবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। রোগী যদি গরিব হয়, তাহলে বিনামূল্যে তাকে সেবা দেওয়া হবে।’