পাবলিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের তালিকায় রয়েছে। আজ (সোমবার) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানির হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রোববার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ওই রিট আবেদন করেন।
রিটে আওয়ামী লীগের সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ-শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে র্যাগিং বন্ধের নির্দেশনার পাশাপাশি বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে বুয়েটসহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য এবং শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর র্যাগিং বন্ধ ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সেই নোটিশে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় জন্য অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন এবং মনিটরিংয়ের জন্য অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠনে সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।