শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে সবকিছুর সমন্বয়ে মানসম্মত শিক্ষায় পৌঁছাতে চাই। কোন জায়গায় নিয়ম শৃঙ্খলার অবনতি হলে সেগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রাণালয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে দেশের ১৩টি শতবর্ষী সরকারি কলেজসমূহের শিক্ষার উৎকর্ষ সাধন কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, সকলের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। এর মাধ্যমেই আমাদের শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার অধিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবো।
এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাকরা কোন আন্দোলন করছে না। কিছু অভিযোগ তারা দিয়েছেন। প্রথা অনুযায়ী সেগুলোর কোন প্রমাণ থাকে তাহলে অন্য জায়গায় যেমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তেমন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কর্মশালায় প্রধান অতিথির শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৩টি শতবর্ষী কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সেসব সুযোগের সৎ ব্যবহার করে শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন।
দেশসেরা রাজশাহী কলেজ শতবর্ষী ১৩ কলেজের একটি। অন্য ১২টি কলেজ হলো, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ, বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ, সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ, পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, খুলনার ব্রজলাল কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ এবং ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ। কর্মশালায় শতবর্ষী কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ ড. মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।