একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দলের প্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি এক অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনাকে বলেন, "এ নির্বাচন সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়ন-অগ্রগতির পক্ষে জনগণের মতামতের সুস্পষ্ট প্রতিফলন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।"
রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সোমবার গণভবনে এই অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন।
অভিনন্দন বার্তায় আবদুল হামিদ শেখ হাসিনাকে 'শুভেচ্ছা ও উষ্ণ' অভিনন্দন জানিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীচক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে স্বপ্ন স্তব্ধ করে দেয়। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চাকা উল্টোপথে চলতে শুরু করে।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে জনগণ আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন। বাংলাদেশ এগুতে থাকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। ২০০১খ্রিস্টাব্দে এ ধারা থেমে গেলেও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আবার আপনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। আপনার প্রজ্ঞা ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনার আলোকে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে।
“সার্বিক অর্জনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ খ্রিস্টাব্দে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। আপনার নেতৃত্ব গোটা জাতি এ দুটি উৎসব অত্যন্ত সাড়ম্বরে উদযাপন করবে, ইনশাল্লাহ। "
রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার এবং তার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।