ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা ‘বিতর্কিত’ নেতাদের বাদ দিয়ে বঞ্চিতদের পদ দেয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২৭ জুন রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি যে ১৯টি শূন্য পদ ঘোষণা করা হয়েছে তার নাম প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতা চান তারা। দাবি মানা না হলে ঈদের দিনেও ঢাকায় অবস্থান করে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন তারা।
রোববার (০২ জুন) রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, রোজা রেখে আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছি। এখানে প্রচণ্ড গরম। কখনও কখনও ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। খুবই কষ্ট হচ্ছে আমাদের। তবুও আমরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরছি না। এই কর্মসূচি চলবে। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগে বিতর্কিতদের স্থান কোনোভাবেই আমরা মেনে নেব না। আমরা নেত্রীর কাছে বিচার চাই। জননেতা ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতা চাই।
পদবঞ্চিতদের অন্যতম সদ্য বিদায়ী কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু বলেন, ৩০১ সদস্যের কমিটিতে শতাধিক অভিযুক্তের নাম আমরা বলেছি। এদের মধ্যে অকাট্য দলিল রয়েছে ৫০ জনের মতো। অথচ নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে এই বিতর্কিতদের নিয়েই জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া হয়েছে। নতুন যে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণার কথা বলা হয়েছে তাও অত্যন্ত অস্পষ্ট। এই বিজ্ঞপ্তিতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
গত ১৩ মে সম্মেলনের এক বছর পর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পদবঞ্চিতরা।