শ্বাসকষ্ট-জ্বর নিয়ে গাজীপুরে আরও দুইজনের মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি |

গাজীপুরের শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ঠাণ্ডা নিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এক কিশোর ও বুধবার দুপুরে কালিয়াকৈর হাসপাতালে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

বুধবার (৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা প্রবীর কুমার সরকার।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর এলাকার ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন ধরে তার শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। বুধবার দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। পরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য তার  ও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা নেয়া হয়েছে।

এদিকে টঙ্গীর পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদ জানান, আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকায় এক কিশোর (১৬) শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ৬ এপ্রিল কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায় সে।

নিহত কিশোরের বাবা জানান, দুই ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী, শাশুড়ি নিয়ে তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে গাজীপুরে বাসবাস করছেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার মঠবাড়ি এলাকায়। তার ১৬ বছরের বড় ছেলেটি কয়েকদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।

গাজীপুর মহানগরীর ৫৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা জানান, বিষয়টি গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর লাশ ফেরত দিলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করার পরামর্শ দেন। স্থানীয়ভাবে নিহতের স্বজনদের ঘরের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এ যাবত কেউ তাদের কারো স্যাম্পল নেয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রাথমিকভাবে ওই বাড়ির চলাচলের রাস্তাটি লকড ও তার পরিবারের লোকজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কাপাসিয়া উপজেলায় জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে এক যুবক মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সরকার। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের বাড়িতে লাল পতাকা ওঠানো হয়েছে এবং বাড়ির লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। নিহত ও তার স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তবে গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, ঢাকায় নিহতদের স্যাম্পল টেস্ট না করা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030531883239746