বগুড়ায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে সবুজ নার্সারির স্বত্ত্বাধিকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান মারা গেছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে তার করোনা ধরা পড়লে চিকিৎসা শেষে তা নেগেটিভ আসে।
বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুন বগুড়ার শিবগঞ্জ এম এইচ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সবুজ নাসার্রীর স্বত্ত্বাধিকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ভর্তির পরপরই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে তাকে লাইফ সার্পোট দেয়া হয়। এরপর শুক্রবার বিকালে তিনি মারা যান।
প্রত্নসামগ্রী সংগ্রাহক আব্দুল মান্নান বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল উত্তরপাড়া গ্রামে আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। এ অধ্যাপকের নিজের হাতে গড়া সবুজ নার্সারি বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মধ্যে বেশ পরিচিত। তিনি একাধিকবার জাতীয়ভাবে পুরস্কার পেয়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম রুবেল জানান, আব্দুল মান্নান করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ জুলাই তিনি করোনা নেগেটিভ হন। তবে ডায়াবেটিস এবং হার্টে নানা সমস্যা থাকায় করোনার সংক্রমণে তিনি কাহিল হয়ে পড়েছিলেন।
টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান জানান, আগে থেকেই শারীরিক নানা জটিলতা থাকায় আব্দুল মান্নানকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আইসিইউতেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, মাঝে আব্দুল মান্নানের শারিরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার তা অবনতির দিকে যায়। এমনকি করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না।
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান একাধারে শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও পরিবেশবিদ। তাঁর গবেষণামূলক বই “ইতিকথা পৌন্ড্রবর্ধন” ইতোমধ্যেই পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবীরা লাশ জীবাণুমুক্ত করে দাফনের ব্যবস্থা করে।