শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত বেঞ্চ এবং শিক্ষকের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের ২৩ নম্বর রোদারপুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের বারান্দায় চলছে পাঠদান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ৫২ শতাংশ জমির ওপর চারটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে নিকলী উপজেলার ২৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম শ্রেণি খোলার লক্ষ্যে আপগ্রেড করে ষষ্ঠ শ্রেণি খোলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সপ্তম অষ্টম শ্রেণির পাঠদান শুরু হয়। কিন্তু বাড়েনি স্কুলটির শ্রেণিক্ষক, বেঞ্চ এবং অন্যান্য উপকরণ। এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সে অনুপাতে শিক্ষক দরকার নয়জন, কর্মরত রয়েছেন সাতজন। শ্রেণিকক্ষের দরকার আটটি রয়েছে পাঁচটি। কিন্তু একটি কক্ষ কোনো কাজে লাগে না। ফলে বাধ্য হয়ে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলের বারান্দায় চট বিছিয়ে ও এক রুমে একই সময় ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদরুল জানান, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক সংকট ও আসবাবপত্র দেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে ও মৌখিক অনেক বলেছি। প্রতিবছর বিদ্যালয়টির সমাপনী পরীক্ষায় ১০ থেকে ১২জন জিপিএ-৫ পেয়ে যাচ্ছে। সরকারি বিধান হলো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আপগ্রেড করে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। তবে সেই বিদ্যালয়ে দুইজন বিএড শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। কিন্তু পাঁচ বছরেও কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকট, শিক্ষক ও আসবাবপত্র সংকটসহ ভবনের প্লাস্টারগুলো পড়ে গিয়ে বড়ো বড়ো ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়গুলো আমি কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো কর্ণপাত করেন না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের সমস্যার বিষয়গুলো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।