স্কুলে শতভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে দেখলেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের। এসময় তিনি বেণীপুর স্কুলের পাশের বাজার থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে চারটি কেরামবোর্ড জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুল চলাকালীন তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। স্কুল চলাকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনি স্কুল দু’টিতে গিয়ে দেখলেন ১০ম শ্রেণি কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়ার মান ও পরিবেশ আশানুরূপ না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ইউএনও মো: উসমান গনি জানান, বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম ছিল। এরমধ্যে ১০ম শ্রেনির ১৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউই উপস্থিত ছিল না। অপরদিকে মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়েও ১০ম শ্রেণির কোন শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন ক্লাস কার্যক্রম না থাকায় শ্রেণি কক্ষ অপরিচ্ছন্ন ও গুমোট অন্ধকার দেখা যায়। এছাড়াও কাঁচেরকোল ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ও শিক্ষার মান নাজুক থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্কুল চলাকালীন কাঁচেরকোল ও বেণীপুর বাজারের বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানে ছাত্রদের কেরাম বোর্ড খেলতে দেখে হতাশা প্রকাশ করেন। তাৎক্ষনিক সেখান থেকে ৪টি কেরাম বোর্ড জব্দ করে ওই বাজারের সকল দোকানে কেরাম বোর্ড খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন।
এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।