সাবেক শিক্ষা সচিব এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তিনিই যিনি মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের জীবন ও কর্মভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. আমজাদ হোসেন মানুষের জন্য কাজ করে আমাদের অনুপ্রাণিত করছেন উল্লেখ করে এন আই খান বলেন, জীবনের জন্য জাতিকে গড়ে তুলতে কাজ করছেন ডা. আমজাদ হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ছাড়াও তাঁর আর একটি পরিচয় তিনি একজন ভালো ব্যবস্থাপক। এছাড়া ডা. এম আমজাদ হোসেনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও ছাত্র জীবনের কথা তুলে ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসীম সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ আর্থোপেডিক্স সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল গণি মোল্লাহ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ পারভেজ জুয়েল।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডা. আমজাদ হোসেন দেশ গঠনে অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন থেকেই তিনি মানবসেবায় কাজ করা শুরু করেন। দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ আমাদের তরুণ প্রজন্ম। তরুণ প্রজন্মকে জীবনমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে কাজ করে চলেছেন তিনি। পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কাজ করার জন্য ডা. আমজাদ হোসেনকে সাধুবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনের ডিফেন্স এ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জে এস সিমাসহ দেশরত্ন মুক্তিযোদ্ধারা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক এবং আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের জীবন ও কর্মভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।