মাদারীপুরের রাজৈরে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর বাবা ও তাঁর লোকজন এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এর আগে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় শ্লীলতাহানির মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। গত শুক্রবার কদমবাড়ী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
হাতুড়িপেটার শিকার সোহাগ সিকদার সদর উপজেলার শ্রীনদী গ্রামের সেকেন্দার আলী সিকদারের ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে গজারিয়ায় নানা বাড়িতে থাকেন সোহাগ। তাঁকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে হাতুড়িপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রীর বাবা। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন, ‘আমার নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে শুক্রবার রাস্তায় গেলে সোহাগ তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। এ ব্যাপারে সোহাগের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘করেছি তাতে কী হয়েছে।’ এ কথা শুনে আমার লোকজন ওকে একটু ঠেলাধাক্কা দিয়েছে।’ তবে সোহাগের দাবি, ছাত্রীটির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকালে মাছের ঘেরে কাজ করতে যাওয়ার সময় ছাত্রীর বাবা ও তাঁর লোকজন তাঁকে (সোহাগ) ইজি বাইক থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে হাতুড়িপেটা করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যায়। সোহাগ আরো অভিযোগ করেন, ‘মাঝেমধ্যেই ওরা আমাকে হুমকি দিত। এ কারণে আমি থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করে রেখেছিলাম।’
অন্যদিকে সোহাগের মামা মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘আমরা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি আমাদের মামলা না নিয়ে মারধরকারীদের পক্ষে সোহাগের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা নিয়েছেন। আমরা এখন আদালতের শরণাপন্ন হব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাজৈর থানার ওসি মো. শাজাহান বলেন, ‘মেয়ের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোহাগের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে। ছেলেপক্ষের কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি।’