দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় আজ রোববার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে সংসদ টিভিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার শুরু হচ্ছে।
টিভির মাধ্যমে পাঠদানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। সহযোগিতা করবে এটুআই ব্যানবেইসসহ অন্যান্যরা।
টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তাণ্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ির কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকের জন্য সংসদ টিভিতে ক্লাস প্রচারের আজকের (২৯ মার্চ) রুটিনটি তুলে ধরা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এর কার্যক্রম শুরু হবে। টিভিতে পাঠদানকারী শিক্ষক ক্লাস শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ের ওপর বাড়ির কাজ দেবেন। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে ও স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে তা জমা দেবে। এ বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ শাখা থেকে সব কাজের তদারকি হলেও প্রচার পাওয়ার জন্য গণমাধ্যমে কথা বলেনে অধিদপ্তরের অপর একজন পরিচালক। যার এই কাজের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি পরিকল্পনা শাখা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তথ্য পাঠানোর নাম করে সর্বশেষ তথ্য নিয়ে তা গণমাধ্যমের কাছে দিয়ে নিজ নাম প্রচার করার ধান্দা করছেন গত কয়েকদিন ধরে। আজ শনিবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্তাব্যক্তি অধিদপ্তর গিয়ে মহাপরিচালককে কিছু নির্দেশণা দিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত বাজেট নিয়ে কথা হয়েছে। কমাতে বলা হয়েছে।