সংস্কৃত, পালি টোল ও চতুস্পাঠি কলেজের শিক্ষকদের এমপিও দেয়ার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২০ মে) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
জানা গেছে, সংস্কৃত, পালি, টোল, চতুস্পাঠি কলেজ শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ন্যায্য স্কেল দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষক সমিতির নেতারা। আবেদনটি আমলে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ প্রেক্ষিতে সংস্কৃত, পালি টোল, চতুস্পাঠি কলেজ শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা যাচাই করে সংস্কৃত ও পালি টোল শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার বিষয়ে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে ন্যায্য বেতন কাঠামোর দাবি জানাচ্ছেন পালি শিক্ষকরা। তাঁরা জানান, পৃথিবীর কোনো দেশেই শিক্ষকদের মাত্র ১৪৯ টাকা বেতন নেই। অসাম্প্রদায়িক দেশে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষক ভিন্ন ভিন্ন বেতন গ্রহণ করতে পারে না। সকল ধর্মীয় শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের এক নৈতিক চিন্তা থাকা আবশ্যক। দেশের মাদরাসা শিক্ষকদের প্রচলিত বেতন ভাতাদিসহ সকল সুযোগ-সুবিধার ন্যায় সংস্কৃত ও পালি শিক্ষকদেরও সকল ক্ষেত্রে সম-অধিকার বাস্তবায়নের দাবি জানান তাঁরা।
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, সংস্কৃত ও পালি টোল শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাঁরা এমপিও বা ন্যায্য বেতন প্রদানের দাবি জানাচ্ছেন অনেক দিন থেকেই। কিন্তু অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে বিষয়টি আটকে আছে।