শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, দরিদ্র শিক্ষার্থীসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে ২০১০ সাল থেকে সরকার প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে বই বিতরণ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ বা বই উৎসব পালন করা হয়। এ বছর ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৪টি বই বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে বিনা মূল্যে বই বিতরণ উৎসব সফল হচ্ছে না। কেননা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সেশন ফি-র কারণে সারা দেশে অনেকেই বই হাতে পায়নি।
জানা গেছে, যে শিক্ষার্থীরা এখনো সেশন ফি জমা দেয়নি তাদের বই বিতরণ করা হয়নি। সেশন ফি না দিতে পারলে বই দেওয়া যাবে না, এটা কোনো সরকারি নিয়ম বা বিধি কি না, কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন—এটা সরকারি কোনো নিয়ম নয়, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও বিদ্যালয় পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে সেশন ফি জমা নেওয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নতুন শ্রেণিতে ভর্তির মাধ্যমে নতুন বই বিতরণ করা হয়। এটা সরকারের বিনা মূল্যে বই বিতরণের মহৎ উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের বিনা মূল্যে বই বিতরণের মহৎ কার্যক্রম সফল ও সার্থক করতে সেশন ফি নামক সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে—পরিশেষে, এটাই প্রত্যাশা।
আবু সাঈদ দেওয়ান সৌরভ : মিরাপাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ।