সদ্য সরকারিকৃত ২৯৬টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কলেজগুলো সরকারিকরণের আদেশ (জিও) জারির পর এবং নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বিধিমতে নিয়োগ প্রাপ্তদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তারা। একারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আসা সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের এমপিওর আবেদনগুলোও নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছেনা। সংকট নিরসনে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর জারি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে ওই তারিখের পর সৃষ্ট পদগুলোতে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর আদেশ জারি করে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরের পর সৃষ্ট পদগুলোতে বিধিমতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া গত ২৮ আগস্ট অপর এক পরিপত্রে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ৩য় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিপত্রগুলো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সরকারিকৃত ২৯৬টি কলেজের শিক্ষকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
অপরদিকে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর ৭ এর ৪ উপধারা অনুযায়ী কোন নির্বাচিত বেসরকারি কলেজের নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগ পর্যন্ত বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের তারিখ থেকে সরকারিকৃত পদে স্থানান্তরিত হবে। আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ অনুয়ায়ী শিক্ষকদের সরকারিকরণের তারিখ থেকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে। তাই সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা হলে তাদের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সরকারিকৃত (সরকারিকরণের জিও হওয়া) কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
এসব জটিলতার প্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে সদ্য সরকারিকৃত ২৯৬ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ৩টি, ৯ অক্টোবর ৩টি, ১২ সেপ্টেম্বর ১৪টি, ২৭ আগস্ট ৫টি এবং ১২ আগস্ট ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর মোট ২৯৬টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়।