শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ায় রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক ইয়াছমিন সুলতানার এমপিও কর্তন ও ইনডেক্স বাতিলের সুপারিশ করেছে এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটি। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক ইয়াছমিন সুলতানা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন এ মর্মে অভিযোগ ওঠার পর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুলাই অভিযোগটি তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামত দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: সাইফুল ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অভিযোগটি তদন্ত করে কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, প্রভাষক ইয়াছমিন সুলতানার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যে জাল, তা এনটিআরসিএ’র যাচাইয়ে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি অন্যের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে জাল নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চাকরি নিয়েছেন এবং ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে বেতনভাতা গ্রহণ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা তার এমপিও বন্ধ, এমপিওর টাকা ফেরতসহ জাল সনদে নিয়োগ লাভের বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রভাষক ইয়াছমিন সুলতানার নাম এমপিও শিট থেকে কর্তন করার সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়। জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তার এমপিও কর্তন ও ইনডেক্স বাতিলের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।