সনদ যাচাই জটিলতায় শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্তির সুপারিশ পেলেন ১২০ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে এইচএসসি বিএম শাখার ৩০ জন শিক্ষক, এসএসসি ভোকেশনাল শাখার ৭৩ জন শিক্ষক এবং কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠানের ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ড থেকে সনদ যাচাই সুপারিশ না থাকলেও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকায় থাকায় তাদের আবেদন শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন কমিটিতে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, কেবল যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তির পরে তাদের আবেদন অনুমোদন কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে। যদিও এ তালিকায় থাকা নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত করার সুপারিশ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ যাচাই প্রতিবেদন না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নতুন এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে শিক্ষকদের সনদ যাচাই প্রতিবেদন প্রয়োজন। তাদের অভিযোগ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং বোর্ডগুলো থেকে সনদ যাচাই বা ভেরিফিকেশন দেয়া হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তা দিচ্ছে না। এজন্য এমপিওভুক্তির আবেদন করতে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন তারা। সনদ যাচাই প্রতিবেদন ছাড়া যারা আবেদন করেছেন, তারা এমপিওভুক্ত হতে পারবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা কাজ করছিল শিক্ষকদের মনে। এ নিয়ে ‘সনদ যাচাই হয় না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে, আটকে গেছে হাজারো শিক্ষকের এমপিওভুক্তি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে দৈনিক শিক্ষাডটকমে। সার্বিক বিবেচনায়, এসব শিক্ষককে সরাসরি এমপিওভুক্ত না করলেও তাদের আবেদন অনুমোদন কমিটিতে উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বাছাই কমিটির সুপারিশের আলোকে এই ১২০ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন এমপি অনুমোদন কমিটিতে উত্থাপনের সুপারিশ করা হলো। এসব শিক্ষকদের সনদ প্রাথমিক যাচাইয়ের সঠিক থাকলেও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ যাচাই নেই। সনদ যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর তাদের এমপিও আবেদন সুপারিশ যোগ্য বলে কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সনদ যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার আগে এমপিওভুক্ত বা আর্থিক সুবিধা পেতে না পারলেও এসব শিক্ষক অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ নতুন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই সনদ যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর তাদের এমপিও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং শিক্ষকরা বকেয়া বেতন-ভাতা তুলতে পারবেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে এমপিওভুক্তির সুপারিশ পাওয়া শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।